চিতলমারী (বাগেরহাট) থেকে অলোক মজুমদার : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হতে না হতে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে বাগেরহাটর বিভিন্ন উপজেলায়। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে নারীি পুরুষ সহ শতাধিক। এদের স্থানীয় হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে এবং ১৯মার্চ ১১ টা থেকে ৫টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মোঃআলমগীর হোসেনের উপর হামলা করা হয়।হামলার নেতৃত্ব দেয সরকার দলীয় প্রার্থী মোঃবাদশা মিয়া ও তার ২০০ উপর সমর্থকরা।
রুমী সিদ্দিকী বলেন আমরা নমিনেশন যাচাই বাছাইয়ে কাজে উপজেলা পরিষদ চত্তরে আসা মাত্র বাদশার লোকজন আমাদের ঢুকতে বাঁধা দেয।পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত ছিলো। অতর্কিত আমাদের রড,লাঠি নিয়ে হামলা করে।মাটিতে ফেলে বেদম পিটায়।জীবন রক্ষার্থে কোনমতে পার্শ্ববর্তী স্থানে আশ্রয় নিলেও দফায় দফায় হামলা করে। উপজেলা সিসিটিভির ফুটেজে হামলাকারীদের ছবি আছে।৫০জনের অধিক নারী সহ আহত হয়ে চিতরমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু বাদশা মিয়া হামলার কথা অস্বীকার করেন।তিনি বলেন আলমগীরের লোকজন এমনটা ঘটায়। শরনখোলা উপজেলার ৪নং সাউথখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর সোনাতলা গ্রামেঅপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সদস্য পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর হাত্তলাদার বলেন বর্তমান সদস্য ডালিমের নেতৃত্বে সভা চলাকালীন সময়ে ২০/২৫জন হামলা করে। বর্তমান সদস্য ডালিম বলেন, তারা প্রথমে আমার কর্মী সমর্থকদের হামলা করে।আমার লোকজন প্রতিরোধ করে।মিজান হাওলাদার, লুৎফর হাওলাদার সহ অনেকে আহত হয়। একই ইউনিয়নের অপর দুই প্রার্থীর সমর্থতদের মধ্যে হামলা হয়। মকবুল চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত বর্দুক জব্দ করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য মোঃ সজিব তরফদার ও অপর প্রার্থী অহেদ মোস্তফা বাপ্পীর সমর্থকদের মদ্যে বৃহস্পতিবার রাতে বন্দুক যুদ্ধ হয।উভয় পক্ষের ২০/২৫জনের বেশি আহত।বাগেরহাটে সদর হাসপাতালে এবং খুলনায় স্থানান্তর করা হয। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাফিন মাহামুদ বলেন পরিস্থিতী আমাদের অনুকূলে আছে।সব জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।মেম্বর প্রার্থী ও তার মেয়েকে আটক করা হয়েছে। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে আমরা তৎপর আছি।